top of page

পরিবেশ পদক পাওয়ায় ডঃ মোঃ জহিরুল করিমকে অভিনন্দন

দেশের পরিবেশ উন্নয়নে অসামান্য এবং অনুসরণীয় অবদান রাখার জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২০ প্রদানের জন্য ৩ জন ব্যক্তি ও ৩ টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান, সাবেক সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী ড. মোঃ জহুরুল করিম। পরিবেশ বিষয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য তাকে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ এর জন্য মনোনীত করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ড. মোঃ জহুরুল করিম জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ প্রাপ্ত হওয়ায় 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া-গৌরবে সৌরভে', তিতাস ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণ খ্যাতিমান এই ব্যক্তিত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, ডঃ মোঃ জহিরুল করিম ১৫ই আগস্ট ১৯৪৮ সালে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় ছোট হরন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রি’তে ২৪/০১/১৯৯৬ থেকে ০৮/০১/১৯৯৭ পর্যন্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এর পূর্বে তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দেশে/বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার/ওয়ার্কশপে অংশ গ্রহণ করেছেন। ড. জহুরুল করিমকে ০২/০১/১৯৯৭ তারিখে ব্রি’র মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে বদলী করা হয়। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৬৮ সালে বিএসসি (এজি) ১ম স্থান অর্জন করেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এমএসসি (এগ্রোনমি)তে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি চাকুরিতে ৪ঠা সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে যোগদান করেন। তিনি সবশেষে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা যায়, পরিবেশ উন্নয়নে অসামান্য এবং অনুসরণীয় অবদান রাখার জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২০ এর জন্য ৩ ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। একইসঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির সদস্যরা। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণনিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি), সাভার এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কনকর্ড রেডিমিক্স অ্যান্ড কনক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কনক্রিট অ্যান্ড ব্লক প্ল্যান্ট লিমিটেড কনকর্ড সেন্টারকে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে খ্যাতিমান জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (ইএসডিও) পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। পরিবেশবিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বৃক্ষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন। অধিকাংশ মানুষ যেখানে সাময়িক ব্যক্তি স্বার্থে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে, সেখানে ওয়াহিদ আলী সরদারের মতো মানুষ গাছের প্রতি দয়াপ্রবণ হয়ে হাজার হাজার গাছ থেকে পেরেক ওঠানোর কাজ করছেন। নিরবে কাজ করে যাওয়া এসব মানুষকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’ প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২২ (বাইশ) ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেওয়া হবে।

Comments


পাঠক নিবন্ধন ফর্ম​

জমা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!

লেখা প্রদানের জন্য মেইল করুন

banglakotha2011@gmail.com

©2025 by Banglakotha

Bangladesh

bottom of page